গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বিডিআর সদস্য হিরু মিয়া হত্যাকান্ডের ১৬ বছর পর চার আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। এছাড়া এ মামলার অপর ১৪ আসামীকে খালাস দেয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, আবু সাম ওরফে সামচুল হক, রওশন শেখ, লিয়াকত শেখ ও রাজা ফকির। রায় প্রদানের সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। খালাস পাওয়া আসামীরা হলেন, চুন্নু ফকির (পলাতক), গিয়াস উদ্দিন (পলাতক), ছিদ্দিক শেখ (পলাতক), ফিরোজ শেখ (পলাতক), সেলিম (পলাতক), হাফিজুর রহমান, হবি শেখ, সাহা আলম ফকির, নিজাম ফকির, গোলাম রসুল, বাদশা মিয়া, সায়েদ আলী শেখ, মাহমুদ ফকির ও সালাউদ্দিন শেখ।
মামলার বিবরণে জানাযায়, কাশিয়ানী উপজেলার কোড়ামারী গ্রামের বিডিআর সদস্য হিরু মিয়ার সাথে আসামীদের জমিজমা ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বিরোধ ছিল। হিরু মিয়া ছুটি কাটাতে বাড়িতে আসলে ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদ থেকে বাড়ি আসার পথে কোড়ামারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে আসামীরা। আহত অবস্থায় হিরুকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হিরু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী জোনাকী বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ চার আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অপর ১৪ আসামীকে খালাস দেয় আদালত। বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান ও বিবাদীপক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান ও এ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান খান।