জায়েদ খান ও নিপুণের মধ্যে চলমান আইনি জটিলতা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক।
সোমবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় এফডিসিতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, ‘আদালতে ফয়সালা হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী সাইমন সাদিকই আপাতত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও যোগ করেন, ‘সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা সাইমনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সমিতির আগামী বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাইমনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হবে।’ এ সময় চিত্রনায়ক সাইমন তার পাশেই ছিলেন।
জানা গেছে, আগামী ৯ মার্চ বিকেলে শিল্পী সমিতির জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানেই সাইমনকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
অনেক দিন ধরেই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আইনি জটিলতা চলছ। গত ২ মার্চ জায়েদ খানের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর শপথ নিয়ে চেয়ারে বসেছিলেন জায়েদ খান। কিন্তু হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন নিপুণ আক্তার। গতকাল রোববার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের এ রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত ও পদটির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন নিপুণ ও জায়েদ খান। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়লাভ করেন জায়েদ। এরপর পুনর্গণনাতেও তিনি জয় পান।
পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ। সেই প্রেক্ষিতে পদটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে।
এরপর জায়েদ খান আদালতের রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আপিল করেন নিপুণ। সব মিলে পদটি নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়।