বাবা মারা গেছে অনেক আগে মা থেকেও নেই সেই অন্যের ঘর করে। অসহায় হয়ে পড়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মুক্তি।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের তেলকুপি গ্রামের মৃত আল মাহমুদের মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মুক্তি। ১৬ বছর আগে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মুক্তির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর এক বছর পর স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে বসেন মুক্তির মা। তার পরের বছরই মারা যান মুক্তির বাবা। এরপর অসহায় মেয়েটি দাদি যোবেদা ও তাঁতশ্রমিক চাচা জাহাঙ্গীরের কাছে বেড়ে ওঠেন।
তাঁতশ্রমিক জাহাঙ্গীর বলেন, মুক্তির বিয়ে ঠিক করি উল্লাপাড়া উপজেলার কুমড়া গ্রামের এরশাদের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ে দেওয়ার মতো আমাদের কাছে টাকা-পয়সা ছিল না। মামুন বিশ্বাস না থাকলে হয়তো বিয়েটা ঠিকটাক মতো দিতে পারতাম না।এ প্রসঙ্গে সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, মেয়েটির বিয়ে ঠিক হওয়ার পর তার চাচা জাহাঙ্গীর আমার কাছে আসেন। পরে আমি ফেসবুক থেকে ৭২ হাজার টাকা সংগ্রহ করে গয়না, বিয়ের বাজার, পোশাক, লেপ-তোশক ও নগদ টাকা দিই। সোমবার উল্লাপাড়ায় তার ফুপুর বাড়িতে আমরা সবাই উপস্থিত থেকে বিয়ে দেওয়া হলো। উল্লাপাড়ার সোমা বিউটি পার্লার মুক্তিকে ফ্রিতে সাজিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তির জন্য সবাই দোয়া করবেন। ফেসবুক বন্ধুদের, ধন্যবাদ। আমি মাত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এমন মানুষগুলোর পাশে যেন সবসময় দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন।
ফেসবুকের কল্যাণে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ধুমধাম করে এতিম বিয়ে হয়েছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) উল্লাপাড়ায় মুক্তির ফুপুর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এই বিয়েতে সহায়তা করেছেন সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস। তিনিই ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে বিয়ের আয়োজন করেন।
এ আয়োজনে আবেগাপ্লুত ও কৃতজ্ঞ মুক্তির দাদি এবং তার তাঁতশ্রমিক চাচা জাহাঙ্গীর। তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দ উচ্ছ্বাস।