২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    ৪৬৯ কোটি  ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ

    চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসেই (জুলাই-জানুয়ারি) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ৪৬৯ কোটি (৪.৬৯ বিলিয়ন) ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ।

    বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) এই অর্থের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

    সাত মাসে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন (১৭৭ কোটি) ডলার ছাড় করেছে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই অঙ্ক বিশ্বব্যাংকের দেয়া সহায়তার প্রায় চার গুণ বেশি। এ সময়ে বিশ্বব্যাংক দিয়েছে ৪৬ কোটি ২০ লাখ ডলার।

    দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। এর আগে সাত মাসে এত বেশি বৈদেশিক ঋণসহায়তা কখনও পায়নি বাংলাদেশ।

    এতে স্বস্তিতে রয়েছে সরকার; করোনা মহামারিকালেও অর্থসংকটে পড়তে হয়নি। ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে খুব একটা ঋণও নিতে হচ্ছে না।

    অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) রোববার বিদেশি ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি ও ছাড়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।

    এতে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বাংলাদেশকে ৪৬৯ কোটি ৮১ লাখ (৪.৬৯ বিলিয়ন) ডলার ছাড় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দাতারা। এর থেকে সামান্য কম ৪৬৯ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার (৪.৬৯ বিলিয়ন) ডলার পাওয়া গেছে।

    এই সাত মাসে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থা যে পরিমাণ সহায়তার প্রতিশ্রিুতি দিয়েছিল তার পুরোটাই পেয়েছে বাংলাদেশ।ছাড় করা ঋণসহায়তার মধ্যে ৪৫৩ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ডলার পাওয়া গেছে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে। ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার ডলার অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার খাদ্য অনুদান এবং ১৫ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার ডলার প্রকল্প অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে।

    গত ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৩২৪ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার (৩.২৪ বিলিয়ন) ডলার ছাড় করে দাতারা। সে হিসাবে এই সাত মাসে বিদেশি ঋণসহায়তা বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

    সৌজন্যে নিউজ বাংলা

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর