প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,মার্চ মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে ।
বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি বিমানে কার্গো সার্ভিস চালুরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২২ সালের মার্চ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেমকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিটিং, রিজারভেশন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেক-ইন সব কিছু অনলাইনে হবে। এটা আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর সব দেশে এ ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এ ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম।
সরকারপ্রধান বলেন, বিমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক। কারণ বিমান বাংলাদেশের যাত্রী ও পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন দেশে যাত্রা করে। তাই আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে এর আরও উন্নতি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আমরা সম্প্রসারণ করে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। কারণ আমাদের এই বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে পড়ে। যেজন্য এ জায়গায় আমাদের অনেক অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের কাস্টমস সিস্টেমটাও সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করতে হবে। কারণ মানুষ যখন বিদেশ থেকে আসে, হয়তো কিছু পণ্য ক্রয় করে নিয়ে আসতে চায়। কাজেই তারা যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয। যদি পুরো ডিজিটালাইজড হয়ে যায়, তা হলে খুব সহজেই যাত্রীসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। সে বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
বিমানের আধুনিকায়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী